পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেমে খাদ্য কর্মকর্তা
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২০ পিএম
জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা। প্রবা ফটো
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণায় নেমেছেন জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা। মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। খাদ্য কর্মকর্তার এমন প্রচারণার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরে কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন ও মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর পক্ষে রুমার প্রচারণার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে নগরজুড়ে চলছে সমালোচনা। ভোটাররা বলছেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে এসে কারও পক্ষে ভোট চাইতে প্রথম দেখেছেন তারা। তবে প্রার্থীদের জন্য প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না জিন্নাত রুমা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পছন্দের লোক প্রার্থী হয়েছেন। এমনকি আমার আত্মীয়ও হতে পারেন। তাদের জন্য কারও কাছে ভোট চাইতেই পারি। আমার চাকরি ঠিক রেখে সবকিছু করছি। এ বিষয়ে যা পারেন লেখেন। এমনকি বক্তব্য রেকর্ড করে ভাইরালও করতে পারেন। তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।’
ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘কোনো সরকারি কর্মকর্তা কারও পক্ষ নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণায় নামতে পারবেন না। সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। যদি এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এলাকার কেউ প্রার্থী হলে তার পক্ষে সমর্থন থাকতে পারে। প্রকাশ্যে প্রচারে নামা যাবে না। খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কেউ এটা করতে পারেন না। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যে ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন। সেই সঙ্গে আমাদের জানালে আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে বলব।’