শাহিনুর সুজন, চারঘাট (রাজশাহী)
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩২ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫২ পিএম
রাজশাহীর
চারঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চারঘাট
কাকরামারি ও চাঁদপুর গ্রামের
মধ্যবর্তী চৌকিরপার বিলের খালের ওপর একটি সেতু
নির্মাণ করা হয়। এরপর
পেরিয়ে গেছে ২৮ বছরেÑ
কিন্তু আজও দুই পাশে
সংযোগ সড়ক নির্মাণ না
করায় এই সেতুর সুফল
পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ফাঁকা
মাঠে ১২ লাখ টাকা
ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য
ও ২৫ ফুট উচ্চতার
সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়
বাসিন্দারা জানান, কাকরামারি, চাঁদপুর, উত্তর মেরামতপুর, বিল মেরামতপুর গ্রামের
হাজারো মানুষ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে।
সড়ক না থাকায় সেতু
দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
সেতুটি জমি থেকে উঁচুতে
হওয়ায় ওপরে উঠতেও দুর্ভোগ
পোহাতে হয়। ভুক্তভোগীদের অভিমত,
এখানে সেতু না হওয়াই
ভালো ছিল। তাহলে পারাপারে
এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। সরকারের
টাকাও অপচয় হতো না।
কাকরামারি
গ্রামের বাসিন্দা জমশেদ আলী বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায়
যানবাহন চলতে পারে না।
হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্ষা
মৌসুমে দুই পাশে পানি
থাকে, তখন কেউ চলাচল
করতে পারে না। চেয়ারম্যান
ও মেম্বারদের কাছে বহুবার গেছি, লাভ হয়নি। প্রতিবার
নির্বাচনের আগে সড়ক নির্মাণের
জন্য মাপজোখ করে। নির্বাচনের পর
আর কেউ খোঁজ নেয়
না।
সম্প্রতি
দেখা যায়, সংযোগ সড়ক
না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন
পথচারীরা। এতে ক্ষতির সম্মুখীন
হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমিও। কারণ
সড়ক না থাকায় জমির
ভেতর যেখানে-সেখানে দিয়ে মানুষ চলাচল
করে। সেতুটি নির্মাণের পর দুই পাশে
নামমাত্র মাটি ফেলা হয়েছিল।
বছরের পর বছর কেটে
গেলেও আর মাটির কাজ
করা হয়নি। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক না করলে যেকোনো
সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে।
সেতুটির বয়স ২৮ বছর
হওয়াতে অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
চারঘাট
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘সেতু নির্মাণের পরে এখানে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।
মাত্র দুই বছর হয়েছে
আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এরই মধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ
নিয়েছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা
হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসএম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’