× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

১৮৯০ ডিম দিয়ে সাগরে ফিরেছে আরও ১৭টি কচ্ছপ

কক্সবাজার অফিস

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৯ পিএম

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৪ পিএম

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে এক হাজার ৮৯০ ডিম দিয়ে নিরাপদে সাগরে ফিরেছে ১৭টি কচ্ছপ। ছবি কোলাজ : প্রবা

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে এক হাজার ৮৯০ ডিম দিয়ে নিরাপদে সাগরে ফিরেছে ১৭টি কচ্ছপ। ছবি কোলাজ : প্রবা

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে এক হাজার ৮৯০ ডিম দিয়ে নিরাপদে সাগরে ফিরেছে আরও ১৭টি মা কচ্ছপ। একের পর এক মা কচ্ছপের মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে ১৭টি মা কচ্ছপের ডিম দেওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বোরি জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক সময় এসব মা কচ্ছপ উপকূলে এসে বালিয়াড়িতে ডিম দিয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের উত্তর শীলখালী, ছেপটখালী, মাদারবুনিয়া, হাবিবছরা পয়েন্ট থেকে কোডেক ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্টের কর্মীরা ১৪টি মা কচ্ছপের দেওয়া এক হাজার ৫৯৭টি ডিম সংগ্রহ করেছে। এছাড়া সোনারপাড়া পয়েন্ট থেকে বরির কর্মীরা ৩টি কচ্ছপের দেওয়া ২৯৩টি ডিম পেয়েছেন। মোট ১৭টি কচ্ছপের দেওয়া এক হাজার ৮৯০টি ডিম সংগ্রহ করে তাদের নিজস্ব হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুইদিনে ২২টি কচ্ছপের দেওয়া ২ হাজার ৪৫৬টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।

তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এখন মা কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মা কচ্ছপ উপকুলে এসে ডিম দেন। মা কচ্ছপ উপকূলে এসে গর্ত করে ডিম দেয়। যা মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে সাগরে ফিরে যায়। একসময় প্রাকৃতিকভাবে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে সাগরে ফিরে যেত। কিন্তু পরে এসব ডিম কুকুর খেয়ে ফেলা ছাড়াও নানাভাবে নষ্ট হয়ে যেত। তাই এসব ডিম সংগ্রহ করে কয়েকটি সংস্থা তাদের সংরক্ষিত হ্যাচারিতে নিয়ে মাটিতে চাপা দেয়। যা বাচ্চা ফুটানোসহ সাগরে ছেড়ে দেওয়ার কাজটি করেন তারা।

যদিও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভেসে এসেছে ১০৩টি মৃত মা কচ্ছপ। এর মধ্যে ১১ দিনে পাওয়া গেছে ৫৯টি মৃত মা কচ্ছপ। যারমধ্যে ৭ শতাধিক ডিমও সংগ্রহ করা গেছে বলে জানিয়েছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। 

তিনি জানান, প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুঁতোয় পেছানো এবং আঘাত প্রাপ্ত। উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের ফেলে দেওয়া জাল, রশিতে পেছিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা