অনোমার দায়িত্বে ডা. প্রভাত ও তুষার বড়ুয়া

প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়াকে সভাপতি এবং তুষার কান্তি বড়ুয়াকে মহাসচিব করে চট্টগ্রামের আনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার মৈত্রী আবাসনে আনোমার স্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনটির সাধারণ সভায় এ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। 

এর আগে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড ২৫ সদস্যের ওই কমিটির নাম প্রস্তাব করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে সেটি অনুমোদিত হয়। 

নবনির্বাচিত সভাপতি প্রভাব চন্দ্র বড়ুয়া সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার সভাপতিত্বে শনিবারের সাধারণ সভায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, সীবলী সংসদ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি বড়ুয়া। আরও বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মৃগাংক প্রসাদ বড়ুয়া, নৃপতি রঞ্জন বড়ুয়া, সরোজ কুমার বড়ুয়া, লায়ন টিংকু বড়ুয়া, প্রকৌশলী পরিতোষ বড়ুয়া, অঞ্চল কুমার তালুকদার, বিকাশ চৌধুরী, অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া, অশোক বড়ুয়া, অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া, অধ্যাপক সরোজ বড়ুয়া, বিকাশ বড়ুয়া, সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, নতুন ও পরিবর্তিত জীবনের জন্য সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য এই স্লোগান ধারণ করে এগিয়ে চলেছে চট্টগ্রামের অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় অনোমার ভূমিকা অতুলীয়। এপার এবং ওপার বাংলায় ‘অনোমা’ মুখপত্রটি যে স্থান দখল করে আছে তা বাংলাদেশ তথা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্যও গৌরবের। অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর আরেকটি প্রকল্প- বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমিও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমাজের প্রথিতযশা গুণীজনদের বৌদ্ধ একাডেমী পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি ড. বেণীমাধব ও ফণীভূষণ স্মারক বক্তৃতামালাসহ নানা ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে।