রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫০ পিএম
রাঙ্গুনিয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথে সীমানা প্রাচীর অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করতে ঘটনাস্থলে ইউএনও। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযান চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন ইউএনও মো. রায়হায় মেহেবুব। এ সময় তিনি সরকারি কালভার্টের বাইরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে একই এলাকার ইউপি সদস্য ফজলুল ইসলাম সেলিম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগটি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরিষদ থেকে বারবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হলেও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কারও কথা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউএনওর কাছে কাজ বন্ধের আরও একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বটতল এলাকার ফরিদুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি সরকারি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে নিজের কৃষি জমিতে পাকাবাড়ি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার বাসিন্দাদের চলার পথ ও বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয় এবং ব্যাপক কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ফরিদ জায়গায়টি কেনার করার আগে থেকেই এখানে সরকারি কালভার্ট ছিল। এর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে নালার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই কালভার্ট দিয়ে ৩-৪ এলাকার পানি এসে পুচি খালে গিয়ে পড়ে। এর মধ্যে একপাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গেলে এলাকাবাসীকে পানির নিচে থাকতে হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এমনকি তাকে ডাকাও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু সে আসেনি। আমাদের উল্টো বলেছে, আমার জায়গায় আমি ঘর করব, এখানে মেম্বার চেয়ারম্যানের কাজ কি। পরে আমি বিষয়টি ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানিয়েছি।’
ফরিদুল ইসলাম জানান, তিনি জায়গাটি কিছুদিন আগে কিনেছিলেন। তার জায়গায় তিনি ঘর করার পর সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন, কিন্তু তা কালভার্টের নিচে পড়ে যায়। এখন ইউএনও যেভাবে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেভাবে তিনি সীমানা দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, পানি নিষ্কাশনের জায়গায় ঘর ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কালভার্টের বাইরে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।