আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২২ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৮ পিএম
আখাউড়ায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লার তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোরছালিন ভূইয়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। নিহতের স্বজনদের দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লা ও তার সহযোগীরা মোরছালিনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে বাড়িতে তালা লাগিয়ে আব্দুল্লাসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহতের ভাই রায়হান ভূইয়া বলেন, ‘শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে ভাই আমাকে কাগজে হিসাবটি লিখে দিতে বলে তাদের পরিবারকে জানানোর জন্য। আমার ভাই পোলট্রি মুরগির ব্যবসা করত। আব্দুল্লা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’
নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বলেন, ‘শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রবিবার দুপুরের পর লোকমুখে শুনতে পারি শিবনগরের আব্দুল্লাহর ঘরে আমার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। সবাই মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি আরও জানান, মোরছালিন আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের সাথে চলাফেরা করত।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম ফোনে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, আব্দুল্লাহ একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, মাদকসহ আখাউড়া থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে টাকা পয়সার বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’