গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৮ পিএম
গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে তিন দালালকে আটক করে দুদক। প্রবা ফটো
গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে দুদকের কর্মকর্তারা।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের ছয়জন সদস্য এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠের পাড় ও জেলখানা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সোহেল, কাঞ্চন এবং রুবেল। তারা দীর্ঘদিন থেকে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করে দিত।
রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগের সত্যতা পান। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়কালে তিন দালালকে টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য গড়ে ওঠেছে। সেই অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে মাঠে নামে দুদক। অভিযানে পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে লোকজন কম থাকলেও বাইরে কম্পিউটারের দোকানগুলোতে ভিড় রয়েছে। এ সময় গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিরন নামে এক নারীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার খবর পাই। যেখানে পাঁচ বছর মেয়াদি জরুরি পাসপোর্টের ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। সেখানে তার কাছ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। পরে ওই নারীর সঙ্গে থাকা তিন দালালকে চার্জ করে হাতেনাতে টাকাসহ আটক করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত আছে।সবার নাম ঠিকানাসহ বিস্তারিত নিয়েছি। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে রিপোর্ট ঢাকা অফিসে পাঠানো হবে। অফিসের কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ঢাকা অফিস তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানে রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ ছাড়াও উপ-সহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা, একেএম নুরে আলম সিদ্দিকসহ ছয় জন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়াও অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাইবান্ধার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া।