নোয়াখালীতে ভোটের রাতে ধর্ষণ
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৮ পিএম
শনিবার রাতে ঢাকা থেকে মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মিন্টু ওরফে হেলাল সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে মারধর করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটায় তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী।
ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. রুহুল আমিন, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে মো. হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাইলের ছেলে মো. সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহীম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু, ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন, মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জামাল হেঞ্জু।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. হানিফ, আবদুল হামিদের ছেলে মো. চৌধুরী, মৃত আহম্মদ উল্যার ছেলে মো. বাদশা আলম, তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোশারফ, মৃত আরব আলীর ছেলে মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে মিন্টু ওরফে হেলাল গত পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে তাকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।