ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২২ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০১ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই গৃহবধুর জন্ম দেওয়া ছয় শিশু। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুই গৃহবধূ ৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের স্বদেশ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সোমা আক্তার ও তার আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি একই হাসপাতালে তানজিনা তিনটি করে শিশুর জন্ম দেন।
চিকিৎসকরা জানান, আপারেশনের পর দুই গৃহবধূ ও তাদের সন্তানরা ভাল রয়েছেন। হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ মোছা. মোমেনা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রসব বেদনা শুরু হলে নরসিংদী জেলার রামনগর গ্রামের সৌদী প্রবাসী রবিন খানের স্ত্রী গৃহবধূ সোমা আক্তার শুক্রবার সকালে হাসপাতালে এসে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসানোগ্রাম করেন। রাতেই গৃহবধূকে অপারেশন করেন ডা. হরিপদ সাহা, ডা. রাজিব ও ওটি ইনচার্জ মোমেনা বেগম। অপারেশন সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়। সেইসঙ্গে সুস্থ্য শরীরে এক এক করে তিনটি ফুটফুটে নবজাতক প্রসব করেন গৃহবধূ সোমা আক্তার।
অন্যদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভর্তি হোন শহরের কালীপুর এলাকার ইটালী প্রবাসী সজল মিয়ার স্ত্রী তানজিনা বেগম। তিনি ওই দিন হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসানোগ্রাম করেন। রাতেই গৃহবধুকে অপারেশন করেন ডা. মিশুতি রাণী ঘোষ, ডা. মুস্তাফিজুর রহমান রাজু ও ওটি ইনচার্জ মোমেনা বেগম। এ সময় তিনি তিনজন কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তার সংসারে আগেও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছেন।’
এ বিষয়ে গৃহবধু সোমা আক্তারের ছোট ভাই সহিদ মিয়া বলেন, ‘আমার বোনের আগেই দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের সংসারে একজন ছেলের দরকার ছিল। আজ মহান আল্লাহ দুজন ছেলে ও একজন কন্যা সন্তান দিয়েছেন। আমরা সবাই অনেক খুশি। তাদের বাবা সৌদী প্রবাসী। প্রবাস থেকে তিনি ভিডিও কলে তাদের দেখছে এবং সেও অনেক খুশি হয়েছেন।’
স্বদেশ হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ মোছা. মোমেনা বেগম বলেন, ‘আজকের অপারেশনে নবজাতকের মধ্যে দুটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তাদের নাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। বর্তমানে বাচ্চাটির মা শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। তবে আশঙ্কামুক্ত। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালে তিনজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারা সবাই ভাল আছে।’
এ বিষয়ে হাসপতালের পরিচালক সাদ্দাম অপূর্ব বলেন, ‘গৃহবধু সোমা আক্তারের অপারেশন আমাদের হাসপাতালে করতে চাইনি। তাকে ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করলেও তিনি যেতে চাননি। আমাদের হাসপাতালে সোমা আক্তার নিয়মিত চিকিৎসা নিয়েছেন। তাই তাদের বিশ্বাস ছিল এই হাসপাতালেই ভাল অপারেশন হবে। এ ছাড়াও এক সপ্তাহ আগে আমাদের হাসপাতালে একজন গৃহবধু তিন সন্তান জন্ম দিয়েছিল। তাই তাদের ভরসা ছিল আমাদের প্রতি। ডাক্তার ছাড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত রোগীদের শারীরিক খোঁজ খবর নেন। এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।’