চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
জো বাইডেন-জয়া দম্পতির তিন বাঘ শাবক। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামের পশুপ্রেমীদের কাছে বেশ আলোচিত একটি নাম ‘জো বাইডেন’। জন্মের পর মাতৃস্নেহবঞ্চিত এই বাঘ বেড়ে উঠেছিল মানুষের আদর যত্নেই। মানুষের বাচ্চার মতো ফিডারে দুধ খেয়ে, খেলনা দিয়ে খেলাধুলা করে বেড়ে ওঠা সেই জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিল তিনটি নতুন বাঘ শাবক।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার ঘরে এই তিন বাঘ শাবক জন্মগ্ৰহণ করে। বর্তমানে তারা মায়ের সঙ্গে আছে। সপ্তাহখানেক পর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যাবে। নতুন এই তিনটি বাঘ শাবকসহ চট্টগ্রামে বাঘের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭টিতে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ।
তিনি বলেন, ‘মানুষের হাতে লালনপালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা, যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের। যে বাঘিনী জয়ার ঘরে জো বাইডেনের তিন শাবক জন্ম নিয়েছে, তার ঘরেই ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম নিয়েছিল জো বাইডেন। ওই সময়েও জো বাইডেনসহ তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল জয়া।’
তবে শাবকগুলোকে মা দুধ খেতে না দেওয়ায় পরদিন একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরও একটি শাবক মারা যায়। জীবিত থাকা একমাত্র শাবকটিকে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানে তাকে হাতে ধরে খাওয়ানো হয় ফিডারের দুধ। সেই সময় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে মানুষের বাচ্চার মতোই খেলনা দিয়ে খেলাধুলা করছিল শাবকটি। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয় জো বাইডেন। এসব ছবি ও তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাপক পরিচিতি পায় জো বাইডেন।
এবারও জয়ার ঘরে জন্ম নেওয়া বাঘ শাবকগুলো মাতৃস্নেহবঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি-না, জানতে জাইলে চিকিৎসক বলেন, ‘জো বাইডেনের পর জয়া আরও তিনটি শাবক জন্ম দিয়েছিল। সেই শাবকগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই লালনপালন করেছিল জয়া। কাজেই এবারও ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে করছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’