মিয়ানমার সংঘাত
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫২ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১০ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফাইল ফটো
টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
শুক্রবার রাতভর এই শব্দ পাওয়া গেলেও শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার পর থেকে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। একই দিন বিকাল ৫টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার পূর্ব পাশে মিয়ানমার থেকে তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে।
হ্নীলার ইউপি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে টেকনাফে হ্নীলার আলীখালী ও চৌধুরীপাড়া বিপরীতে মিয়ানমারের বলিবাজার ও কেয়ারিপ্রাং এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি ও ১২ থেকে ১৫টি মটার শেল বিস্ফোরণের শব্দ সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভেসে আসে। শনিবার ৮টার পর থেকে আর কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘নানাভাবে জানা যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক আরাকান আর্মির ওপর বলিবাজার এলাকার চতুর্দিকে থেমে থেমে মর্টার শেল হামলা করছে।’
এদিকে নাফ নদের পূর্ব পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের মংডু শহরের পেরাংপুরু ও নলবন্ন্যা গ্রামে শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কয়েকটি ভারী বর্ষণ বা থেমে থেমে মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মুজিবুর রহমান।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পেরাংপুরু ও নলবন্যা গ্রামে গোলাগুলি ও বিকট শব্দ ভেসে এসেছে।
সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারে মংডু শহরের উত্তর পাশ থেকে গোলাগুলি ও বিকট শব্দ শোনা গেছে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ায়। তবে জালিয়াপাড়ার বিপরীতে শান্ত পরিস্থিতি রিরাজ করছে। শোনা যাচ্ছে, ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টায় রয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সীমান্তে জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দের বিষয়টি অবহিত করেছেন। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’