চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১০ পিএম
যৌন হয়রানি। প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে দুই দিনে দুই শিক্ষককে অসংবেদনশীল আচরণের অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ছাত্রীর যৌন হয়রানি করার অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অন্যজনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বশিরিয়া আহম্মদিয়া এবি ছিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে একজন কেন্দ্র পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই দিনই পর্যবেক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। একই দিন উপজেলার সন্দ্বীপ আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে তামজিদ হোসেন নামে এক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার পর প্রকাশ্যে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠে স্কুলের লাইব্রেরিয়ান মো. মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তামজিদের বাবা মো. সোহেল বিষয়টি নিয়ে সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরীকে লিখিত অভিযোগ দিলে শুক্রবার ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান তিনি।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরপর দুই দিন দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসংবেদনশীল আচরণের অভিযোগ পেলাম। তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তামজিদের বাবা মো. সোহেল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ছেলেকে সবার সামনে পিটানোর পর তার ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্য ক্লাসের মেয়েদের সামনে বসিয়ে তার চুল কেটে দেন ওই শিক্ষক। আমি বুঝতে পারিনি ওনার এত আক্রোশ কীসের। পরে বিষয়টি নিয়ে স্কুলে কথা বলতে গেলে স্কুলের একজন শিক্ষক আমাকে বলেন মেরেছে ভালো হয়েছে। এই কথায় হতাশ হয়ে আমি ইউএনও স্যারকে জানাই। উনি এসে ছেলেকে দেখে গেলেন। ওই শিক্ষকও এসেছেন। তবে তিনি কোনো কারণ বলতে পারেননি। যদি কোনো অপরাধ থাকত তাহলেও এতটা কষ্ট পেতাম না। আমার একটাই ছেলে। ছেলেটা মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে। কাল থেকে জ্বরে কাতরাচ্ছে।’