রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৮ পিএম
তাহেরপুর পৌরসভার উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতীদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন খন্দকার সায়লা পারভীন। প্রবা ফটো
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে খন্দকার সায়লা পারভীন এবং কাউন্সিলর পদে আমিনুল হক বিনা প্রতীদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওই দুই পদের অন্যান্য প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মেয়র ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে কোন ভোট হচ্ছে না। মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষ দিন ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি।
তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মেয়র পদ শূন্য হয়। অপরদিকে কাউন্সিলর রইচ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় ওই পদটিও শূন্য হয়।
খন্দকার শায়লা পারভীন রাজশাহী-(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালামের স্ত্রী। তার বাবা প্রয়াত আলো খন্দকার ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা এবং তাহেরপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি চরমপন্থিদের হামলায় নিহত হওয়ার পর ২০০৩ সালে উপনির্বাচনে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন শায়লা। এরপর থেকে তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ওই দুই পদে উপ-নির্বাচনের জন্য গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তফশিল ঘোষনা করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক। গণ-বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ ওই দুই পদে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারী ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের সময়। এতে মেয়র পদে খন্দকার সায়লা পারভীন ও তানভীর ইসলাম ফেরদৌসের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়। এছাড়াও নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে খয়রা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, একই গ্রামের সোনালপাড়ার সোহেল রানা, চকপাড়ার ওসমান কাজী, সরকারপাড়ার আমিনুল হক, দালানপাড়ার ওহিদুল ইসলাম এবং খয়রা গ্রামের আখতার হোসেনসহ ছয়জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে তানভীর ইসলাম ফেরদৌস তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। অপরদিকে কাউন্সিলর পদে আমিনুল হক ছাড়া অপর প্রার্থীরাও তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, মেয়র পদে তানভীর ইসলাম ফেরদৌস তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় খন্দকার সায়লা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমিনুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।