মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৩ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৬ পিএম
রানীপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র। প্রবা ফটো
রংপুরের মিঠাপুকুরে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক শিক্ষকের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় প্রশ্নপত্র ফটোকপি করতে সহযোগিতা করায় ফটোকপির দোকানদার খায়রুল বাশার নামে একজনকে দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের পাশে এরশাদ মোড়স্থ মেসার্স বাশার এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ফটোকপির দোকানে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, খোড়াগাছ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম রানীপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে এসএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র কৌশলে বের করে ফটোকপির দোকানে নিয়ে ফটোকপি করছিলেন। এ সময় মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ মেসার্স বাশার এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানে গিয়ে প্রশ্নপত্রসহ রবিউল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ওই শিক্ষককে সহযোগিতা করায় দোকানটির স্বত্বাধিকারী খায়রুল বাশারকে দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে একই দিনে উপজেলার বৈরাতী দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তরপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অভিভাবকসহ শিক্ষানুরাগীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, কয়েকটি কেন্দ্রে এ রকম ঢিলেঢালা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং কেন্দ্র সচিবসহ দায়িত্বরত শিক্ষকরা স্কুলের পাসের হার বাড়াতে এমন অসাধু উপায় অবলম্বন করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রকৃত মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কারাদণ্ডসহ জরিমানা করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।’