ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪০ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৯ পিএম
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বৈগ্রাম বাজারে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষে ছয় দফা দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বৈগ্রাম বাজারে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় ডিনা মাইট বিস্ফোরণের কারণে বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঘরবাড়িতে ব্যাপক আকারে কম্পন হয়। এতে রাতে আতঙ্ক উৎকণ্ঠায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। কয়লাখনিতে ক্ষতিগ্রস্ত পার্শ্ববর্তী বৈগ্রাম-কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামবাসী দীর্ঘদিন থেকে কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কিছু সুযোগ-সুবিধার দাবি করে আসছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি খনি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছিল। সেই ছয় দফা দাবিও পূরণ করেননি কর্তৃপক্ষ।
গ্রামবাসীর ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে খনিতে চাকরির সুযোগ দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসন করা, ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিহীনদের উন্নত মানের বাসস্থান নির্মাণ করা, ক্ষতিপূরণের অর্থ দ্রুত প্রদান করা, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ হাসপাতাল নির্মাণ করা এবং যাদের জমির নিচ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তাদের কয়লার অংশীদারত্ব দিতে হবে।
গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। এতে খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি হলে এর জন্য খনি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। কারণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী দিন দিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। তবে বিষয়গুলো মানবিক দৃষ্টিতে দেখে গ্রামবাসীর জীবন ও জীবিকা নিরাপদ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সাদেকুল ইসলাম, মো. মেনাজুল হকসহ শতাধিক নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম-সার্ফেস অপারেশন) এটিএম নূরুজ্জামান বলেন, বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম দুটি খনি এলাকা থেকে অনেক দূরে। ওই গ্রামগুলোর লোকজনকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত কিংবা পরিকল্পনা খনি কর্তৃপক্ষের নেই।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে তার দাপ্তরিক মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।