বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৮ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৮ পিএম
বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভারতীয় নাগরিকরা। প্রবা ফটো
বগুড়ায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এতে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট মুক্তাক্ষর সাহিত্য স্রোত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেসক্লাব, অন্ত সলিলা ফল্গু পাক্ষিক পত্রিকার সদস্যরা অংশ নেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার আমন্ত্রণে তারা শহীদ খোকন পার্ক চত্বরে বই মেলা ঘুরে দেখেন। এ সময় স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদেরকে স্বাগত জানান।
পশ্চিমবঙ্গের সমাজকর্মী দীপক কুমার ঘোষ বলেন, বাংলা ভাষা মানে মাতৃভাষা, ভাষা রক্ষায় জীবন দিয়েছে এটা বিরল, আমরা ভারতে বাস করলেও আমাদের মায়ের ভাষাও বাংলা। আমিও বাংলায় কথা বলি, সেই আবেগ অনভূতি থেকেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বগুড়ায় আসা।
দেবাশীষ অধিকারী বলেন, পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যারা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা দেশ পেয়েছে। বাঙালি হিসেবে যা বিরাটপ্রাপ্তি, সেই আবেগের সঙ্গে মিশে যেতেই ছুটে আসা। বাংলা ভাষার অনুষ্ঠান দুই বাংলার সাঁকো, যে সাঁকোর মধ্য দিয়ে আমরা কাঁটাতারের বেড়াকে তুচ্ছ করে ভাষায় মননে, চিন্তায় বাঙালিয়ানায় এক হয়ে গেছি।
বীরেন্দ্র নাথ মাহাতো বলেন, গোটা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে যার কর্ণধার বাংলাদেশ। শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে, আমরা গর্বিত। আমরা আত্মার আত্মীয় হিসেবে এখানে এসেছি।
মুক্তাক্ষর সাহিত্য স্রোত সভাপতি অশোক কুমার ঘোষ বলেন, বাংলা মায়ের একটাই মুখ। দুই বাংলার মিলনে আমরা মিশে যাই। বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা, এই ভাষাতেই জয় করবো পৃথিবী।
নির্মল মোহন্ত বলেন, ভাষা আন্দোলন নিয়ে এদেশের মানুষের আবেগ স্বচক্ষে দেখতেই এই দেশে আসা। আমরা সবাই প্রাণভরে সেই আবেগ দেখে অভিভূত।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বগুড়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক জিয়া শাহীন বলেন, ভারত থেকে আগতদের সাথে আমাদের আত্মার বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমাদের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে তারা আমাদের গর্বিত করেছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট এলাকার সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের মেলবন্ধন রয়েছে। গত বছরও তারা এসেছিল, এবারও আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, তারা এসে আমাদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আমাদের আবেগ অনুভূতির সাথে তারা মিশে গেছে।