সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৪ পিএম
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রবা ফটো
সুনামগঞ্জে ‘গুজব’ ছড়িয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদের সামনে সোমবার রাতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর ওয়াজ করার কথা ছিল। মাহফিলে আসার পথে উপজেলার মিয়ারচর ঘাট থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে রাত ১২টার পর মাইকে জানানো হয় অনুমতি না থাকায় রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দিতে পারবে না। এ খবর শোনার পর কিছু উশৃঙ্খল জনতা মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফাঁড়ির বাইরের বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিতর্কিত রফিকুল ইসলাম মাদানী এখানে আসবেন আমাদের জানা ছিল না। রাত ১০টায় হঠাৎ করে শুনেছি তিনি আসবেন। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার নিন্দা জানাই। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তবে কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।’
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আবু সাঈদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ওয়াজে বক্তব্য দেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও রফিকুল ইসলাম মাদানী তা করেননি। পরে গুজব রটানো হয়, রফিকুল ইসলামকে ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে কিছু মানুষ ফাঁড়ির সামনে এসে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ও ২৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তারা হলেন, মাহারাম গ্রামের মোজাম্মিল হক লিটন, কাস্তাল গ্রামের মো. রায়হান, পৈলানপুরের দুই ভাই বশির আহমদ ও নাসির উদ্দিন এবং বাদাঘাটের মো. মোশারফ।