যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০০ পিএম
মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অপু দাসের মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। ছবি: সংগৃহীত
মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অপু দাসের মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব।
যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ঋষি পল্লীর বাসিন্দা অপু দাস। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান অপু। তবে অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তার। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ দেখে এগিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতা পল্লব।
অপু দাসের বাবা অসিত দাশের পেশা জুতা ঠিক করা। যশোরের মণিরামপুরে খানপুর ঋষি পল্লীতে দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে বাস করেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলের এমন সাফল্যে খুশি অপুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও।
পারিবারিক প্রতিকূলতার মধ্যেও এমন সাফল্যে অপু দাসকে অভিনন্দন জানান যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। মেডিকেলে ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন পল্লব। মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা অপু এবং তার বাবার হাতে তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করা হয়।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, ‘দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পরবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। অপু দাসের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তার ভর্তি হতে ২০ হাজার টাকা লাগবে, সে টাকাটা আমি তাকে দিয়েছি। ভর্তি পরবর্তী বইখাতাসহ পড়াশোনার সব খরচ বহন করার চেষ্টা করব। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।’
অপু দাস বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব ভাই আমার ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ভর্তির টাকা দিয়েছেন। তার এই আবদান আমি কোনোদিন ভুলব না।’
মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি এবং মণিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অপু দাস। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো কোচিং না করেই এমবিবিএস পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।