বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৫ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪২ পিএম
পটুয়াখালীর বাউফলের বগা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হাসান ওরফে হাসান হাওলাদার। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম হত্যাচেষ্টা মামলায় বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ওরফে হাসান হাওলাদারসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা আমলি আদালতের বিচারক আশিকুল ইসলাম আশিক জামিন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগিনা শাহাবুদ্দিন আকন, ভাইয়ের ছেলে রাসেল হাওলদার ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ স ম ফিরোজ এমপি নৌকার মনোনয়ন পান। ওই নির্বাচনে বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম খান নৌকার পক্ষে কাজ করেন। ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর নৌকার উঠান বৈঠক শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রেজাউলের ওপর বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান, তার ভাগিনা শাহবুদ্দিন আকন, ভাতিজা রাসেল হাওলাদারসহ ২০-১৫ জন হামলা চালায়। হামলায় রেজাউল খান গুরুতর জখম হন। আহত হন কয়েকজন। এ ঘটনায় রেজাউল খানের ভাই মামুন খান বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৩ জানুয়ারি মামলার ১৫ আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। সোমবার পটুয়খালী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আমরা সব আসামির জামিন আবেদন নাকচের আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ চারজনকে জেল হাজতে পাঠান।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বশিরুল আলম বলেন, ‘আমরা সুবিচার পাইনি। ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিল। তারপরেও তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের জামিন চেয়ে আবারও আবেদন করা হবে।’