নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৬ পিএম
ফতুল্লায় হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় যুবককে হত্যার দায়ে সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রবা ফটো
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় মো. রানা নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিএমপি শ্যামপুর থানার জুরাইন এলাকায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার সাব্বির হোসন ঢাকা কদমতলী থানার জুরাইন শ্যামপুর ব্রিজ এলাকার খোকন মিয়ার ভাড়াটিয়া আ. রাজ্জাকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার সিএসআরএম ডেইরি ফার্মের সামনে রাস্তায় সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে মুড়ানো অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মরদেহ পাওয়া যায়। পরে মৃত ভিকটিমের কোনো পরিচয় শনাক্ত করতে না পারলে মাইকিং করে তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। পরিচয় জানতে ডিএনএ সংরক্ষণের আবেদনসহ ভিকটিমের মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ছবি দেখে তার পরিবার ভিকটিম মো. রানাকে শনাক্ত করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রানা আসামির পূর্ব পরিচিত ও একই এলাকার বাসিন্দা। আসামি সাব্বির ও তার ভাই সাজ্জাদের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সাব্বিরের বাসায় একত্রে মিলিত হন রানা। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাব্বির ও তার ভাই সাজ্জাদ রানার বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যায়। পরে আসামিরা রানার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে ২-৩ দিন সাব্বিরের রুমে লুকিয়ে রাখে। পরে গত ৯ ডিসেম্বর লাশটি ফেলে রেখে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার র্যাব-১১ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামিদের ধরতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।