জয়পুরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৫ পিএম
আবু হোসেন হত্যা মামলায় মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। প্রবা ফটো
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আবু হোসেন হত্যা মামলায় মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. রব্বানী, একই উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের ছেলে রাফিউল, কোকতারা গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন, দরগাপাড়ার আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহিদা বেগম।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রব্বানী ও সহিদা এবং রাফিউল ও আমিনা সম্পর্কে মা-ছেলে। এদের মধ্যে চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পুলিশ পাহারায় হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামি আমিনা বেগমকে রায় প্রদানের সময় পলাতক দেখানো হয়েছে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পাঁচবিবির দরগাপাড়া এলাকায় মামলার বাদী আবু তাহেরদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারপিট হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা আবু তাহেরের ছেলে আবু হোসাইনের মাথায় লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে এবং দুই পায়ে মেরে জখম করে। গুরুতর আহত আবু হোসাইনকে স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করায়। পরে সেখান থেকে বগুড়া মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার নয় দিন পর আবু হোসাইন মারা যান।
এ ঘটনায় আবু তাহের বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক। তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই তিনি আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলা চলাকালে দুজন আসামি মারা যান। অপর পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।