প্রবা ও ফরিদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান। ফাইল ছবি
সাংবাদিক ও সহকর্মীদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পাঁচ দফা জানাজা শেষে রাজবাড়ীর ভাবানীপুরে শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে ও বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সব সংগঠনের মধ্যে ছিল জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ডিআরইউ, রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদ, জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট, ঢাকাস্থ পটুয়াখালী সাংবাদিক ফোরাম, ফরিদপুর জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন প্রভৃতি।
প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজার আগে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা। এ সময় সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, ‘লায়েকুজ্জামান আর প্রেসক্লাবে ফেরত আসবে না। তিনি চিরদিনের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। একজন সাংবাদিক যখন চলে যান, তখন তার পরিবারের দায়িত্ব আর কেউ নেয় না। লায়েকুজ্জামানের পরিবার যাতে ভালো থাকে সেই দায়িত্ব আমি ব্যক্তিগতভাবে নেব।’
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘লায়েকুজ্জামান অনেক সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি খবর লিখতেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। একজন লায়েকুজ্জামানের মৃত্যু নেই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা এমন একজন সদস্যকে হারিয়েছি, ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য তার অভাব অনুভব করবে। লায়েকুজ্জামান আপাদমস্তক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ট কণ্ঠস্বর ছিলেন।’
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও লায়েকুজ্জামানের ভাতিজা মিলন।
এর পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। সেখানে ফরিদপুর প্রেসক্লাব ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা।
লায়েকুজ্জামান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান। ওই রাতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি সর্বশেষ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। কর্মজীবনে দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক সকালের খবর, কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।