সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৮ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৬ পিএম
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় স্মার্ট গ্রাস মিটার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফোকাস বাংলা
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে আরও ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট (টিসিএফ) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আগামী চার মাসের মধ্যে খনন শেষ হলে এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনুসন্ধান কূপ কৈলাশটিলা-৮ খনন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি, বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘কৈলাশটিলা ফিল্ডে আগে তিন টিসিএফ (গ্যাস) মজুদ ছিল। অনুসন্ধান কূপ খনন করায় মজুদ আরও বাড়বে। দেশীয় ফিল্ড থেকে গ্যাস পেলে ৪ টাকায় পাওয়া যায়, একই পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে ৬০ টাকা খরচ হয়।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা উদ্যোগ নেবেন, আমরা সেই অপেক্ষায় বসে থাকি। মন্ত্রণালয় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে না। আমরা চাই প্রত্যেকে সক্ষমতা দেখান, আমরা তাদের সক্ষমতার দিকটি দেখতে চাই। যারা ভালো করবে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড এগিয়ে গেছে, আরও প্রকল্প নিচ্ছে। আমরা চাই অন্যরাও এগিয়ে আসুক।’
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি কৈলাশটিলা-৮ কূপের খননকাজ শুরু হয়েছে। ১২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কৈলাশটিলায় এর আগে সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আরও ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’