২৭ ঘণ্টা পর রাজশাহী বিভাগের ৪ জেলায় ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইনের পাইপ প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হওয়ায় উত্তরবঙ্গের ৪ জেলায় পুনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহী জেলার গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এ জন্য ৬০ ঘণ্টা সময় নেওয়া হলেও লেগেছে ২৭ ঘণ্টা।

এর আগে গত বুধবার পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের জন্য টাই-ইন/হক-আপ কার্যক্রম ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার মধ্যে সম্পন্ন হবে। কার্যক্রম চলাকালে পিজিসিএল আওতাধীন এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

জিটিসিএল সূত্র আরও জানায়, হাটিকুমরুল এলাকায় গ্যাস পাইপ লাইন প্রতিস্থাপনের কারণে ১ লাখ ২৬ হাজার ১২৯টি গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে আবাসিক এলাকায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৪টি, বড় শিল্প কারখানা ৭৫টি, সিএনজি স্টেশন ২৯টি, ক্যাপটিক পাওয়ার ৪৯টি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ৬টি।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার আইনুল কবির বলেন, ‘হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে হাটিকুমরুল এলাকার ২টি স্থানে ১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এই গ্যাসের পাইপ লাইন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্যাস বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হলেও আমরা ২৭ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলি। ফলে শুক্রবার রাত ১১টা থেকেই পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির লিমিটেডের গ্রাহক বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশন এবং আবাসিক লাইনে গ্যাস সরবরাহ সচল রয়েছে।’