নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩১ পিএম
সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা ও ইউনিয়নের সাবেক-বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, কলেজ অধ্যক্ষ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক এবং ইউপি সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। প্রবা ফটো
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেছেন, সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলে আল্লাহর গজব পড়বে। এই টাকা দিয়ে যদি সন্তানদের পড়ালেখা করান তাহলে সেই সন্তান মানুষ হবে না।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা ও ইউনিয়নের সাবেক-বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, কলেজ অধ্যক্ষ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক এবং ইউপি সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এমপি এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, আমার কাছে এক ৭৫ বছরের উপরে এক বৃদ্ধা আসছে তার বয়স্ক ভাতা হচ্ছে না। তার ঘর নাই, সন্তানরা তাকে দেখে না। আমি বললাম কেনো কার্ড হচ্ছে না? তিনি বললেন, মেম্বার আমার কাছে তিন হাজার টাকা চায়, সচিব টাকা চায়। কোন দেশে যাব আমরা। এই অসহায় মানুষের কাছে যারা টাকা চায় তারা মানুষ না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলে আল্লাহর গজব পড়বে। এই টাকা দিয়ে যদি সন্তানদের পড়ালেখা করান তাহলে সেই সন্তান মানুষ হবে না। যে বয়স্কভাতা খাবে, বিধবা ভাতা খাবে, স্বামী পরিত্যক্তার ভাতা খাবে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সন্তানকে খাওয়াবেন সেই সন্তান মানুষ হবে না। ওই মহিলাকে আমি বলছি, উপজেলা পরিষদে আসবেন, সবার মুখোমুখি করাব ওই মেম্বার আর সচিবকে।
মায়ের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করায় আমি এক সন্তানকে কারাগারে পাঠিয়েছি উল্লেখ করে এমপি ইব্রাহিম বলেন, এক মা আমাকে অভিযোগ করেছেন তার নাকি বয়স্ক ভাতা বন্ধ। আমি খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার ছেলে মায়ের টাকা তুলে নেয়। আমি পুলিশের মাধ্যমে খবর নিয়ে তার মায়ের কথা অনুযায়ী তাকে কারাগারে পাঠিয়েছি। বর্তমানে এসব অসহায় মানুষের ভাতার টাকা তুলে নেয় একটা চক্র। আমি বলতে চাই গরীবের টাকা খেয়ে এই দুনিয়ায় পার হতে পারলেও আখেরাতে বহুগুণে ফেরত দিতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, মাদক, যানজট, চাঁদাবাজি আমাদের উপজেলার প্রধান সমস্যা। তাই সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এসবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট উপজেলা। ফসলি জমির মাটি কাটায় আমাদের এই এলাকার নতুন রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ভোটের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। ভোট কমে যাওয়ার ভয়ে। আমি বলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এসবের ভয় নাই। আপনারা কাজ করে যান আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়ার সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম বাকের, সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু, সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ভিপি মাহফুজুর রহমান বাহার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।