মাদারীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৪ পিএম
বাঁয়ে সজল বৈরাগী ও ডানে মামুন শেখ। ছবি কোলাজ : প্রবা
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে মাদারীপুরের রাজৈরের দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও একজন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুই যুবকদের মৃত্যুর খবর এলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আদরের সন্তানদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। এই ঘটনায় দালালের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
পুলিশ বলছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত দুই যুবকের স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ ও সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগীসহ বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বুধবার লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় রওয়ানা দেয় তারা। ৩২ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নৌকায় ৫২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন ফেটে যায়। এতে মামুন ও সজলসহ মারা যায় ১২ জন। পরে খবর পেয়ে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে সে দেশের কোস্ট গার্ড। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ পাশের এলাকা গোহালা ইউনিয়নের পান্নু শেখের ছেলে আপন শেখ।
নিহত মামুন শেখের বড় ভাই সজিব শেখ ও নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী জানান, মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশারফ কাজী প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৩-১৫ লাখ টাকা করে নেয়। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে পাঠালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকারিভাবে তাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত দালাল মোশারফ কাজী দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া বসবাস করছে। তার ছেলে যুবরাজ গ্রাম থেকে ইতালি পাঠানোর জন্য যুবকদের সংগ্রহ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’