প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৮ পিএম
বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আট জনপ্রতিনিধি। প্রবা ফটো
অনিয়ম-দুর্নীতি, অসদাচরণসহ নয়টি অভিযোগ তুলে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার (১৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আট জনপ্রতিনিধি।
জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। এ সময় উপজেলা ইউএনওকে দ্রুত অপসারণের দাবি করা হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান শাহীন, ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আব্দুল হক, মগড় ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হোসাইন, সুবিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান গফ্ফার খান, কুশঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নাচনমহল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সেলিম ও দপদপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইউএনও বিভিন্ন অজুহাতে টিআর, কাবিখা প্রকল্প দীর্ঘদিন ছাড় করেননি। উপজেলা পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে না করে ইচ্ছেমতো অর্থ ব্যয় করেন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না এবং রেজুলেশনের লিপিবদ্ধ করা সকল বিষয় আলোচনা করা হয় না। ইউএনও ইচ্ছেমতো রেজুলেশন করেন। এ ছাড়া মহান বিজয় বিদসের কর্মসূচির নামে ৩০ লাখ টাকা চাদাঁবাজি করে নিজেই রেখেছেন। তিনি টিআর-কাবিখার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ না করাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এ ছাড়া গৃহহীনদের নামে সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া উপজেলা পরিষদের নারিকেল ও মাছ বিক্রি এবং শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ যথাযথ হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের বিষয়ে নলছিটির ইউএনও নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অমি যোগদান করেছি। চার মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছি। ওই সময়ে টিআর-কাবিখা হয়েছে বলে আমার নজরে নেই। উপজেলা পরিষদের আমি মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, সভাপতি পদে থাকেন চেয়ারম্যান। তাই চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি-না, আমার জানা নাই। এ ছাড়া রেজুলেশনে উত্থাপন না করে ব্যয় করার সুযোগ নাই। ৩০ লাখ টাকা চাঁদার বিষয়টি বাস্তবসম্মত না।
ইউএনও আরও বলেন, চেয়ারম্যানদের দাবি সমান হারে টাকা বরাদ্দের কিন্তু টিআর-কাবিখার সুষম বন্টন হবে জনসংখ্যা ও আয়তনের ভিত্তিতে। কোনো জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে আমি জানি না। ঘর বরাদ্দ প্রসঙ্গে বলেন, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নলছিটিকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করেছি। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। প্রয়োজনে সাংবাদিকরা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেও দেখতে পারেন।