প্রেস ক্লাব পিঠা উৎসবে সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম
ভালোবাসার রঙে রাঙানো আজ পহেলা ফাল্গুন। শীতের বিদায় আর বসন্তের আগমনে অন্যরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিঠা উৎসব।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে শুরু এই পিঠা উৎসব। ‘চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব-ফুলকলি পিঠা উৎসব’ শিরোনামে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘পিঠাপুলি হচ্ছে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক খাদ্যপণ্যের ভিড়ে এই সংস্কৃতি এখনও সমাদৃত। যা দিন দিন বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হচ্ছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এ আয়োজনকে ঘিরে সহধর্মিণীদের ঘরে ঘরে বিগত কয়েক দিন ধরেই শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। তাদের তৈরি নানা জাতের নান্দনিক ও মুখরোচক পিঠা আজ সবাইকে মুগ্ধ করেছে। নানাক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে আমাদের গৌরবময় সংস্কৃতির সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে।’
পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা। তিনি বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের সদস্যদের কল্যাণে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি সহধর্মণী এবং সন্তানদের নিয়েও আমরা নানা আয়োজন করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই পিঠা উৎসব। এ উৎসবে সৃজনশীলতারও প্রতিফলন ঘটেছে।’
স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও ঘিরে রয়েছে আমাদের ভাবনা। সহধর্মিণী ও সন্তানদের অংশগ্রহণে আরও নানা চমকপ্রদ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, উপপুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, ফুলকলির মহাব্যবস্থাপক এমএ সবুর এবং প্রেস ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রহামান।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ এবং মো. আইয়ুব আলী।
এর আগে সকালে নিজেদের তৈরি বাহারি পিঠা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন অংশগ্রহণকারীরা। হাঁস পিঠা, ফুলঝুরি, সুজির রসমঞ্জুরি, ডিমের ঝুড়ি, হাতঝারা পিঠা, বিবিখানা, গোলাপ পিঠা, পাক্কন পিঠা, ছাইন্না পিঠা, চিংড়ি পুলি, কিমা ভাপা, সব্জিরোল, চিরুনি, ডালের নকশি, বিন্নি চাউলের কলা পাতার পিঠা, দুধ পুলি, নারকেল বরফি বাহার, আলুর রস ডোবা মালাই গজা, সাগুদানা, নুনচিয়া, ভেজিটেবল কাটলেট, পুডিং, অন্থন, গাজর পাকন, দুধ চিতই, ত্রিভূজা চিকেন, রসে ভরা প্যাঁচ পিঠা, মুগ পাকন, পান্ডোয়া, ফুলঝুরি, মাল পোয়া, সুজির রসমঞ্জুরি, ডিমের ঝুড়ি, হাতঝারা পিঠা, বিবিখানা, গোলাপ পিঠা, পাক্কন পিঠা, বকুলফুলের মতো বাহারি পিঠার সমাহার ছিল হলজুড়ে। যা ছিল সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতায় ভরপুর।
পিঠা উৎসবে বিচারক ছিলেন হোটেল পেনিনসুলার প্রধান শেফ এনামুল হক, সহবিচারক ছিলেন প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য শামীম আরা লুসি এবং ইয়াসমিন ইউসুফ। পিঠা উৎসবে বিচারকদের বিচারে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন মিসেস মাহবুব উর রহমান, দ্বিতীয় মিসেস গোলাম মাওলা মুরাদ, তৃতীয় মিসেস হাসনাত মোর্শেদ, চতুর্থ মিসেস বিএম মঞ্জুর এলাহী, পঞ্চম মিসেস চৌধুরী ফরিদ, ষষ্ঠ মিসেস রাশেদ মাহমুদ।
উৎসবের ফাঁকে ফাঁকে চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কৃষ্ণ পদ রায়। সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী সনজিত আচার্য্য, সুপ্রিয়া লাকী এবং জিয়াউদ্দিন বাদশা।