খুলনায় ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, দুদিন পর গৃহবধূর স্বামীর মামলা

খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লু (আঠা) লাগিয়ে ও হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার দুই দিন পর মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা হয়েছে। মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রীর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় ও খুলনা থেকে পাইকগাছায় গিয়ে মামলা করা সময়সাপেক্ষ বিধায় এজাহার দিতে দেরি হয়েছে।

ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একজনকে আটক করা হয়েছে। আসামি শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগে সদস্যরা কাজ করছে।’

গত রবিবার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলি গ্রামে রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও বাড়ি থেকে মালামাল লুটের অভিযোগ ওঠে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।