প্রতিদিনের বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের পর
মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫০ এএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৫ এএম
কাটাখালী সড়কটির কানাখন্দে বালু দিয়ে ভরাট করছে এলজিইডি। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কাটাখালী সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ ‘খানাখন্দে ভরা সড়ক চলাচলে ভোগান্তি’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের পরই মূলত সংশ্লিষ্টরা সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সড়ক সংস্কারের মালামাল আনা হয়। আর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়। প্রথমে বালু দিয়ে সড়কটি ভরাট করে উঁচু করা হবে। পরে পিকেটিং ও কার্পেটিংসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকার কাজটি করছে মেসার্স ইউনুস ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকা থেকে শহরের বড়বাজার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে জেলা শহর, বিন্নাটি মোড়সহ উপজেলা থেকে চৌদ্দশত, পুলের ঘাট, জিনারাইল এলাকার মধ্যে যাতায়াত করা যায়। তিনটি ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ সড়কে চলাচল করে। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মিনি পিকআপ, ট্রাক, দূরপাল্লার পরিবহন, লেগুনাসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কের অন্তত শতাধিক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের।
যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমতিরাজ সুলতান রাজন বলেন, ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে। পরবর্তী সময়ে সরেজমিনে তদন্ত করে এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠালে ছয় কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অনুমোদন হয়।’
এলজিইডি কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে ছিল সড়কটি। এটি সংস্কার হলে এলাকার কয়েক লাখ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’
অটোচালক রবিন মিয়া, রিকশাচালক মাহতাব ও ট্রাকচালক রহমান মিয়া জানান, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে ছিল সড়কটি। সড়কে ছোটবড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হতো যানবাহন, ঘটত নানা দুর্ঘটনা। প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ সড়কটির সংস্কার শুরু করেছে। এজন্য আমরা আনন্দিত।’
কাটাখালী এলাকার রিকশাচালক তাহের মিয়া বলেন, ‘রাস্তাটির কাজ যে গতিতে শুরু হয়েছে সেভাবে চললে দ্রুত সমাপ্ত হবে। এতে সাবাই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।’