বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২২ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
বান্দরবানে রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামে এক যুবককে গুলি করায় সম্মিলিত নাগরিকসমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। প্রবা ফটো
বান্দরবানের রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামে এক যুবককে গুলি করায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সম্মিলিত নাগরিকসমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২ নম্বর রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি রুমা বাজার প্রদক্ষিণ করে হিন্দু মন্দিরের কাছে এসে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে কয়েক’শ জনতা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন ২নম্বর রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা (শৈবং)।
সমাবেশে বক্তব্য দেন রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমা, পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা, মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উথোয়াই চিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক সুই প্রু চিং মারমা। সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষে বক্তব্য দেন অংচোওয়াং মারমা প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শৈমং মারমা বলেন, ‘কেএনএফ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে দুর্গম এলাকার মানুষজন অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলেই গুলি করা হয়। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে রিঝুক পাড়ায় গুলিবিদ্ধ উহ্লাচিং মারমাকে হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা বলেন, ‘দুর্গম এলাকার সাধারণ লোকজন খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসী পাড়ায় ঢুকে চাল, ছাগল, শুকর, মুরগিসহ আরও অন্যান্য জিনিস জোরপূর্বক নিয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই গুলি করা হয়। এই সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রুমা সদর ইউনিয়নের রিঝুক পাড়ায় উহ্লাচিং মারমা নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা জানান, কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা চাঁদাদাবি করেছিল। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় উহ্লাচিং মারমাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে বলে জানান তিনি।
গুলিবিদ্ধ উহ্লাচিং মারমাকে প্রথমে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মো. মোস্তফা রুবেল বান্দরবান সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। আবার বান্দরবান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান বলেন, ‘এখনও কেউ মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’