চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় মো. লিটন নামে আরও এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান। তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় লিটন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এর আগে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে জসিম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর এক কিলোমিটার এলাকা থেকে একটি সিআর মামলায় দুদকের সাবেক উপপরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। তাকে চাঁনদগাঁও থানা হেফাজতে আনা হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি চান্দগাঁও থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন, চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান, মো. জসীম উদ্দীন, মো. লিটন, রনি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।
অভিযোগে বলা হয়, এস এম আসাদুজ্জামান, জসীম উদ্দিন, মো. লিটন ষড়যন্ত্র করে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহর জায়গা দখলের জন্য মিথ্যা মামলা করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হারুনর রশিদ নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গ্রেপ্তার করে নাজেহাল ও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করায় ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দিন দুই এএসআই ইউসুফ ও সোহেল রানা দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে পরদিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা জানান। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা না শুনে এবং ওষুধ সেবন করতে না দিয়ে জোর করে টানাহেঁচড়া করে শহীদুল্লাহকে থানায় নিয়ে যান। এ সময় থানার ওসির কক্ষে দুই এএসআই এবং পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়।