কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৭ পিএম
সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়া। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই বিকট শব্দের বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে, যা এখনও চলমান রয়েছে। বিকট এ বিস্ফোরণে সীমান্তের এপারের মানুষ ধারণা করছে ওপারে দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে চরম উদ্বেগে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের মুন্ডু টাউনশিপের আশপাশে তিন ও চার কিলোমিটার নামক এলাকায় ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। এখনও থেমে থেমে শুনা যাচ্ছে এসব গুলির শব্দ।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জালাল আহমদ ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেজাউল করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ দিন ধরে সীমান্তবাসীর অস্বস্তি ও উদ্বেগের কথা প্রকাশ করে জালাল আহমদ বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন স্বস্তি নেই এলাকাবাসীর মনে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং সীমান্তের নাফনদের ওপারে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গেছে। আজ ভোর থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ বলে দিচ্ছে ওখানে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বা যুদ্ধ চলছে। নানা মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে মিয়ানমারের চাকমাকাটা, কোয়াংচিমন ও কুমিরখালী এলাকায় বিজিপির ঘাঁটি ঘিরে এই সংঘর্ষ।’
তিনি বলেন, ‘মূলত উদ্বেগ বা ভয়ের কারণ হচ্ছে এপারে কখন গুলি এসে পড়ে, কখন মর্টাল শেল এসে পড়ে তা নিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকি।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানান, নাফনদের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ গতকালের তুলনায় আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে বেড়ে গেছে। এতে এপারে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ অন্যদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তবে সীমান্তে কোস্ট গার্ড-বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাসহ কোনো দুষ্কৃতকারী যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী ১৩৭ জনকে প্রতিহত করেছে বিজিবি।’