হাওরাঞ্চল (নেত্রকোণা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ২১ নম্বর প্রকল্পে বাঁধের জায়গা দখল করে লাউসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ। এর প্রতিকার চেয়ে ২১ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি রবিউল মিয়া বাদী হয়ে গত রবিবার বিকালে বাদেহরিপুর গ্রামের আলী নূরসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামড়ল হাওরটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। এই হাওরের অধীনে থাকা সীমের খাল ফসলরক্ষা বাঁধের ২১ নম্বর প্রকল্পের পিআইসির সভাপতি রবিউল মিয়া ও সদস্য সচিব হলেন অজিত তালুকদার। ২৩০০ মিটার বাঁধটির বিপরীতে পাউবো থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ১২৫ টাকা। এবার হাওর থেকে দেরিতে পানি নামায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও মেরামত কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে বাঁধের প্রায় ২ হাজার ২০০ মিটার স্থানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ১০০ মিটার জায়গা দখল করে সেখানে মিষ্টি লাউ, কাঁচামরিচ ও বেগুন চাষ করছেন উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে-হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী-নূর, রতন মিয়া, আনোয়ার হোসেনসহ ৭-৮ জন। গত শনিবার সেখানে কাজ করতে গেলে স্থানটি নিজের দাবি করে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে বাধা দেন তারা। এ অবস্থায় ওই বাঁধ মেরামতের কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
২১ নম্বর পিআইসির সভাপতি রবিউল মিয়া বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের ওপর ১০০ মিটার জায়গাজুড়ে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে। আমরা এই স্থানে কাজ শুরু করতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও মেরামত কাজটি বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আলী নূর বলেন, এই বাঁধের কাজটি আমি গত তিন বছর করেছি। আমাদের রেকর্ডীয় ১৬ একর জায়গার ওপর দিয়ে এই বাঁধটি নেওয়া হয়েছে। আমার জায়গায় আমি সবজি ক্ষেত করেছি। সরকারি জায়গা হলে আমি ছেড়ে দেব। ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।