প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক, আত্মগোপনে থাকা যুবক গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছর আত্মগোপনে থাকা শের আলী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শের আলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, আত্মগোপনে থাকা শের আলী চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় সিএনজি চালানোর সুবাদে পরিচয় হয় হাতিয়া বাজার এলাকার মোবারকের সঙ্গে। ২০২২ সালের ৫ জুলাই মোবারক একটি মোটরসাইকেল কিনতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথার মৌলভীবাজার মোটরসাইকেল শোরুমে যায়। এ সময় মোবারকের মোটরসাইকেল কেনার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল শের আলীর কাছে ছিল। মোটরসাইকেল কিনতে আইডি কার্ড ছবি লাগবে জানার পর টাকা ও মোবাইলটি শের আলীর কাছে রেখে বাসায় যায় মোবারক। এ সুযোগে টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি কবিরহাটে চলে যান শের আলী। এ ঘটনায় স্থানীয়দের নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়, কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় অভিযুক্ত শের আলীকে ৭ জুলাই হাতিয়ার হরণি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই এলাকা থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় শের আলী। পরে আত্মগোপনে গিয়ে পরিবারের সহায়তায় ২০২২ সালের ১২ জুলাই আদালতে একটি গুম ও অপহরণ মামলা করান। ওই মামলায় মোবারকসহ আসামি করা হয় তাদের সঙ্গে জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ থাকা শামছুল হক মাঝিসহ ৯ জনকে। পরবর্তী সময়ে মামলাটি কবিরহাট থানা অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করে।

ওসি বলেন, তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মগোপনে থাকা শের আলীর অবস্থান কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। সর্বশেষ তিনি কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে আছে নিশ্চিত হয়ে ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারছা বাসের চালক হিসেবে এতদিন চাকরি করছিল বলে আটকের পর স্বীকার করেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।