কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৫ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৬ পিএম
ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর তোলা ছবি। প্রবা ফটো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি রবিবার রাতে শান্ত থাকলেও সোমবার বদলে গেছে দৃশ্য। আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পর ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কয়েকটি ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সীমান্তের তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রফিকুল আলম বলেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমার বিজিপি সদস্যদের তাড়িয়ে তাদের ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে আরাকান আর্মিরা। বিদ্রোহীরা রাতের বেলা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে গুলি বর্ষণ করে থাকে। দিনে পাহাড়ের বাঙ্কারে অবস্থান নেয়; যা সীমান্তের এপার থেকে দেখা যায়। সোমবার ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় বিজিপি ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়ার কুণ্ডলীর সঙ্গে সঙ্গে গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।’
এদিকে টেকনাফের নাফ নদের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানান হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি। তিনি বলেন, ‘নাফ নদের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে তা লাগাতার না। থেমে থেমে বিস্ফোরণ হচ্ছে।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকার সংবাদকর্মী তাহের নঈম বলেন, ‘হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং সীমান্তের ওপারে নাফ নদে একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে। ওটা তোতক দ্বীপ নামে পরিচিত। ওই দ্বীপের কাছাকাছি মিয়ানমারের চাকমাকাটা, কোয়াংচিমন ও কুমিরখালী এলাকায় বিজিপির ঘাঁটি দখলে নিতে যুদ্ধ চলছে। এর জেরে দ্বীপে থাকা কিছু রোহিঙ্গাকে নাফ নদে নেমে যেতে দেখা যায়। গোলাগুলি কমলে তারা আবার দ্বীপে চলে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে- ওই দ্বীপে কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে, যারা অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের কঠোর নজরদারি দেখা যাচ্ছে।’
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ওপার থেকে যাতে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে বিজিবি সতর্ক পাহারায় আছে।’
কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফুর লাহিল মাজিদ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ওপার থেকে একজন রোহিঙ্গাও যাতে ঢুকতে না পারে, এ ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় আছি।’