গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১৪ পিএম
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৯ মাসের মেয়েকে টয়লেট পরিষ্কার করার হারপিক খাইয়ে হত্যা করেছেন এক মা। একই সঙ্গে তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আঁখি বেগম নামে ১৯ বছর বয়সী মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আঁখি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মামুন তালুকদারের স্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, দরিদ্রতা নিয়ে তাদের সংসারে খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। তা এক সময় চরম আকার ধারণ করে। ফলে আঁখি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
তিনি বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় আঁখি তার মেয়েকে প্রথমে হারপিক খাওয়ান। পরে নিজেও হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি স্থানীয়রা জানার পর তাদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অঁখিকেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, হাসাপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মায়ের অবস্থাও ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতেই বড় হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, মামুন কোনো কাজকর্ম না করায় গত শুক্রবার তার বাবা তার পরিবারকে সংসার থেকে পৃথক করে দেন। এ কারণে ক্ষোভে, দুঃখে ও অভিমান করে মামুনের স্ত্রী আঁখি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি। কেউ অভিযোগ করলে অথবা তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পরিবার জানায়, প্রায় দুই বছর আগে আঁখি ও মামুনের বিয়ে হয়। মামুন তেমন কোনো কাজ করতেন না। মাঝেমধ্যে দিনমজুরি করলেও অধিকাংশ সময় বেকার থাকতেন। তাই সংসারে অভাব-অনটন লেগে থাকে। এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও মনমালিন্য চলে আসছিল।