চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩২ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৩ পিএম
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে সবার সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিশুবান্ধব সরকার। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিবিধ কল্যাণমূলক কর্মসূচি সরকার বাস্তবায়ন করছে। বিশেষত সমাজের এতিম, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু লালন পালনে এই অধিদপ্তরের ভূমিকা অনন্য।’
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ বলেন, ‘এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই সুন্দর আয়োজন যার অন্যতম উদাহরণ। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) কাজী নাজিমুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
কাজী নাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি বহুমুখী কর্মসূচিসমৃদ্ধ দপ্তর। এই দপ্তরের আওতায় সমগ্র দেশে প্রায় ৫৪টি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই অধিদপ্তরের অন্যতম কর্মসূচি শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম। এ দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এতিম শিশু লালন-পালন করার উদ্যোগ শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। এই ধারাবাহিকতায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সমগ্র দেশে ৮৫টি শিশু পরিবার পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া পরিত্যক্ত শিশু, অভিভাবকহীন ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষার জন্য এ দপ্তর বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজের এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষায় সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আশার আলো চট্টগ্রাম অধ্যক্ষ কমান্ডার সৈয়দা শাহানা ইয়াছমিন, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান, চট্টগ্রাম বিভাগের সব উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার ও কর্মচারীরা।
এ বছর বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ৫৭টি ইভেন্টে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ২০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৫০টি শিশু অংশগ্রহণ করেছে।