নড়াইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৩ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০৩ পিএম
প্রতিপক্ষের হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ি। প্রবা ফটো
নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারের তিনটি পাকা বসতঘর ভাঙচুর করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় আসবাবপত্র লুটপাটসহ গরু নিয়ে গেছে। গত বুধ ও শুক্রবার দুই দিন সদর উপজেলার শিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর এলাকার নয়ন শেখের বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশের জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করেও ভুক্তভোগী পরিবার কোনো সহযোগিতা পায়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘তারাপুর গ্রামের নয়ন শেখের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের জুবায়ের শেখের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জুবায়েরের ওপর হামলা করে নয়ন শেখের লোক জুরাইল শেখসহ কয়েকজন। জুবায়ের শেখ সামান্য আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনার জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জুবায়েরের পক্ষে আসাদ শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়ন শেখের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তারা চারটি গরু ও ঘরের মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা নয়ন শেখের বাবা ও মাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ফের হামলা করে দুটি টিনশেড দালান ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ভেঙে ফেলে।
ঘটনার সময় নয়ন শেখের চার ভাই এলাকার বাইরে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারেননি। নয়ন শেখ বলেন, তারা ৩ ঘণ্টা ধরে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করছিল, আমি খুলনার দৌলতপুর থেকে পুলিশের ‘৯৯৯’ এ ফোন করলে তারা আমাকে মির্জাপুর ফাঁড়িতে যোগাযোগ করতে বলে। আমি ফাঁড়িতে যোগাযোগ করতে না পারায় আমার ঘরগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
নয়ন শেখের প্রতিবেশী মুজাহিদ সিকদার, দ্বীন মোহাম্মদ ও জাহিদ হাসান বলেন, আমরা বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা শুনে ভেবেছিলাম অল্প ভেঙেছে, এখন দেখছি অমানবিক কাণ্ড। একটি মানুষের আশ্রয়স্থল ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা, এটা চরম অন্যায়।
ভাঙচুরের নেতৃত্বে থাকা নয়ন শেখের পাশের বাড়ির আসাদ শেখকে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, রাতে কারা ঘর ভেঙেছে তা আমরা জানি না। জমি নিয়ে বিরোধ জুবায়েরের সঙ্গে। আমার স্বামী এ ঘটনায় জড়িত না। আসাদ শেখকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মারামারির ঘটনাটি আমাদের নজরে আছে। সেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে বাড়ি ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ৯৯৯-এ ফোন করেও সেবা না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ৯৯৯-এর সমাধানযোগ্য বিষয় নয়।’