চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪২ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৪ পিএম
সাজা পাওয়া তরুণী। প্রবা ফটো
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে বাংরাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা খেয়েছেন এক তরুণী। পরে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাউবির আওতাধীন আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজে বি.এ/বি.এস.এস বিভাগের পরীক্ষা শনিবার দুপুর ১টায় শুরু হয়। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবু পাড়ার কাজী মারজাহান নিতু পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। নিতুর স্থলে পরীক্ষার্থী সেজে অংশগ্রহণ করেন পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের সালমা খাতুন নামের একজন। ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করায় সালমা খাতুনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরা হয়। তাকে সন্দেহ হলে কাগজপত্র দেখতে চাই। এ সময় দেখা যায় একজনের পরীক্ষা দিচ্ছে আরেকজন। পরে কেন্দ্রেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
দন্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি গণি মিয়া।
এ বিষয়ে জানতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজান নিতুর মুঠোফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।