শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪০ পিএম
শরণখোলা পানি শোধনাগারে পানি নেওয়ার জন্য স্থানীয়দের ভীড়। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন বকুলতলা গ্রামে সুপেয় পানির অভাব পূরণে একটি অত্যাধুনিক পানি শোধনাগার নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই পানি শোধনাগারটি ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম, শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম, শরণখোলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম।
শরনখোলা থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংকের (পিএলসি) অর্থায়নে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. সেকান্দার ফরাজীর দান করা দেড় শতাংশ জমিতে এই পানি শোধনাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই পানি শোধনাগার থেকে প্রতিদিন এক হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে। এটি নির্মাণে সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা, শরণখোলা ও খুড়িয়াখালী এই তিন গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার সুপেয় পানির নিশ্চয়তা পেয়েছে। প্রতি লিটার ২৫ পয়সা মূল্যে এখান থেকে সুপেয় পানি নিতে পারবে যে কেউ। ওই অর্থ পানি শোধনাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয় করা হবে।
পানি শোধনাগারটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা জমিদাতার ছেলে মো. শামীম ফরাজী বলেন, সাউথখালী ইউনিয়নে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বলতে গেলে সারা বছরই সুপেয় পানির সংকট থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে যখন পানি শোধনাগার নির্মাণের প্রাস্তাব আসে, তখন আমার বাবা এলাকার পানি সংকটের কথা চিন্তা করে বিনা টাকায় জমি দান করেন। এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
সাউথখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে আমাদের সাউথখালী ইউনিয়নে সব সময় সুপেয় পানির সংকট থাকে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুম এলেই এই সংকট আরও প্রকট হয়। পুলিশের উদ্যোগে পানি শোধনাগারটি নির্মাণ হওয়ায় কমপক্ষে দুই হাজার পরিবার উপকৃত হবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান সুবিধাভোগীদের উদ্দেশে বলেন, পানি শোধনাগারটি আপনাদের সম্পদ মনে করতে হবে। এটি যাতে দীর্ঘদিন থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের সমস্যার কথা চিন্তা করে এটি নির্মাণ করে দিয়েছে। এখান থেকে নামমাত্র মূল্যে পানি পাবেন সবাই। এ থেকে যা আয় হবে, সেই টাকা শোধনাগারটির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করা হবে। এটি যাতে ভালোভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য শরণখোলা থানা তদারকি করবে।