নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৩ পিএম
প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে ভূমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দক্ষিণ চরব্যাগ্যা গ্রামের সাতশ পরিবার। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও দখলদারদের কবল থেকে সরকারি খাসজমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে বন্দোবস্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরব্যাগ্যা গ্রামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ৭০০ ভূমিহীন পরিবারের আট শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
ভূমিহীন বিবি আমেনা বলেন, ‘২০০৫ সালে ভূমিদস্যু উৎখাতের নামে আমাদের চরব্যাগ্যা থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। আমরা নদীর কূলে কূলে থাকতাম। দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করেছিলাম কিন্তু এই জমিতে আমরা আবাদ করতাম। আমাদের আত্মীয়স্বজনরা এই জমিতে ছিল। মৃতদের মরদেহ এইখানেই দাফন করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আমরা ভূমিহীনরা আমাদের পূর্বের জায়গায় এসেছি। এ সময় আলো মাঝিসহ সন্ত্রাসীরা ৩০ জানুয়ারি আমাদের আবার উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। আমরা এই ভূমিতে ছিলাম, এই ভূমি আমাদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমরা এই জমির বন্দোবস্ত চাই।’
ভূমিহীন বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কবর এখানে আছে। মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো আমাদের। কিন্তু আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য ৩০ জানুয়ারি হামলা চালায়। আমাদের অনেক ভূমিহীন পরিবার আহত হয়েছে। আমাদের চাষাবাদকৃত জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করলে আমরা মানব না, প্রয়োজনে জীবন দেব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলা উদ্দিন ওরফে আলো মাঝি বলেন, ‘আমি একজন্য ব্যবসায়ী। এ জায়গার মালিক জমিদারহাট এলাকার ফিরোজ ওরফে এলাহী ফিরোজ। আমি ভূমিহীনদের ওপর হামলার সাথে জড়িত নই।’ অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে এলাহী ফিরোজের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধনে মো. ইরান, নুরুল হক, নুরুল আলম, বেলায়েত, সফি চৌধুরী জামে মসজিদের ইমাম মো. আব্বাস হুজুর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ‘এ জায়গা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। আদালত এ জায়গায় দুই পক্ষের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছে। ওই মামলা শেষ হলে প্রকৃত ভূমিহীন থাকলে তাদের মধ্যে বন্দোবস্ত দিতে কোনো সমস্যা নেই।’