কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া যায়। প্রবা ফটো
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে এক দিন পর আবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তে গুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বন্ধ রয়েছে গুলিবর্ষণের শব্দ। তবে সীমান্তবর্তীদের মধ্যে এই মর্টার শেল নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ওপারে গুলির শব্দ বন্ধ থাকলেও এপারে এক দিনে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল, উনচিপ্রাং ও কানজরপাড়া সীমান্তের ওপারে গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাচ্ছে এপারের বাসিন্দারা। এসব এলাকায় তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এপারে গুলিও এসে পড়েছিল। এরপর থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও শনিবার সকালে অবিস্ফোরিত দুটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ভোরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী এলাকায় দেশটির সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এপারের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকায় কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘুমধুম সীমান্তে একের পর এক অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া যাচ্ছে। সকালে নতুন করে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পেয়েছে স্থানীয়রা। এর আগেও দুটি মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো পরে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ঘুমধুমের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে জমিতে মিলছে এসব মর্টার শেল।’
সকালে কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে মর্টার শেল দেখতে পান রাজিয়া। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিজিবি নিয়ে গেছে। রাজিয়া বলেন, ‘কৃষিজমিতে কাজ করছিলাম। তখন দেখি শিশুরা লম্বা লোহার রড়ের মতো একটি জিনিস নিয়ে খেলছে। তখন তাদের কাছ থেকে এটি নিয়ে বাসায় চলে আসি। পরে স্বামী বলে এটি অস্ত্র। তার পরপরই বিজিবিকে এটি হস্তান্তর করি।’