অবৈধ মজুদে জড়িয়ে পড়ছে করপোরেট কোম্পানিগুলো

গত মধ্য জানুয়ারি থেকে চালের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের বিভিন্ন জেলায় মজুদবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বেশ কিছু জেলায় স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিজে উপস্থিত থেকে অভিযান চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরে ইস্পাহানি অটোরাইস মিলকে অনিয়ম ও অবৈধ মজুদের কারণে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে ১৬ জানুয়ারি নওগাঁর মহাদেবপুরে এসিআই অটোরাইস মিলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

দিনাজপুরের সদর ও পার্বতীপুর উপজেলায় অবৈধ মজুদবিরোধী অভিযান শেষে সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, দাম কমানোই অবৈধ মজুদবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়। সরকার ধান ও চালের সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চায়। সারা দেশে মজুদবিরোধী অভিযান চলছে। আমরা আসি বা না আসি অভিযান থেমে নেই। বৃহস্পতিবার এখানে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। মিটিংয়ে তারা ওয়াদা করেছে চালের দাম বাড়বে না বরং কমবে।

ইস্পাহানি অটো রাইস মিলকে জরিমানা করা সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকেই বেশি লাভের আশায় মাঠে ময়দানে ধান মজুদ করে রাখে। পত্রপত্রিকায় দেখি বস্তায় গাছ গজিয়ে গেছে। আজ এখানে (ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে) সেরকম চিত্র দেখতে পেলাম।’ এ সময় লোভেরও একটা সীমা থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সারা দিনে ৪ থেকে ৫টি মিলে যাওয়া হয়েছে। কারও অবৈধ মজুদ আছে কি না, কেউ কোনো অনিয়ম করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে কিছু অনিয়ম ও অবৈধ মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এ ছাড়াও খাদ্যমন্ত্রী ইসান অটো রাইস মিল, মনোয়ারা অটো রাইস মিল, মেসার্স রায়পুর অটো রাইস মিল, চারভাই অটো রাইস মিল ও ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে অবৈধ মজুদবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দেশের শীর্ষ ৬টি করপোরেট কোম্পানি যথা সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়ালের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে অবৈধ মজুদ না করতে নির্দেশ দেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সেদ্ধ ও আতপ চালের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তা ছাড়া নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।