চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:১৬ এএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪০ এএম
চরতী ইউনিয়ন পরিষদ। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ সাইফুল।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরতী ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে হামলার ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী।
নিজ কার্যালয়ের ভেতরে এমন হামলার বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, ‘মেম্বার সাইফুলের নির্দেশে তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাঁচটি সিএনজিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে প্রবেশ করে সরাসরি অফিস রুমে ঢুকে আমার ওপর হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নথিপত্র ও টাকা অস্ত্রের মুখে লুট করে নিয়ে গেছে। আহত হয়ে আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ঘটনা অন্যদিকে নিতে তারা আমার নামে অপ্রচার চালিয়েছে। তারা বলেছে দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমি সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছি। অথচ আমার দায়িত্বকালীন কোনো সরকারি ঘর বরাদ্দ হয়নি। হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে তারা আমার ওপর এমন বর্বর হামলা চালিয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সচিবের বরাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্থানীয় নাছির, জামসেদ, দেয়োয়ারসহ কয়েকজন অতর্কিত এসে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থার তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তবে চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিয়েছেন। ওই মামলার হাজিরা দিতে আমি কোর্টে ছিলাম। সমস্যা হলো তার কাছে অনেকে টাকা পায়। দেলোয়ার নামে একজন পাওনা টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন চেয়ারম্যান দেলোয়ারকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এরপর দেলোয়ারের আত্মীয়স্বজনরা এলে দুই পক্ষে মারামারি হয়। এখানে আমার নাম কেন জুড়ে দিচ্ছে বুঝতে পারছি না। চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে দুইটা মামলা দিয়েছেন। সব মেম্বারের সঙ্গে তার শুরু থেকে ঝামেলা। তিনি আমাদের বরাদ্দ দেন না, ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দেন না। আমাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। হামলার ঘটনায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য তিনি থানায় আসবেন বলেছেন। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’