সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৯ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৮ পিএম
গ্রেপ্তার আসামি হারুন। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. হারুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার গাবতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. হারুন সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের বাসিন্দা।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসামি হারুন পালিয়ে ঢাকায় চলে গেলেও তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। চরজব্বর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। এরপর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এই মামলার আসামি তিনজন। আমরা আগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। হারুন বাকি ছিল। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বার ও মেহেরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেহেরাজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত সোমবার রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ ও তার মেয়ে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় গৃহবধূ তার তিন সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দলবদ্ধ এ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।