রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:৫৭ এএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৯ এএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার দারুল হুদা আলিম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের পরিবারের চলাচলের রাস্তা দেওয়াল টেনে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ১০ বছর ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শিক্ষক পরিবারটি। তাদের চলাচলে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম মহসিন মিয়া। তিনি ভোলাবো গণবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষকের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পূর্বে প্রতিষ্ঠিত চারিতালুক দারুল হুদা আলিম মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি ৭০ এর দশকে এখানে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে জায়গাটি ব্যবহার হতো। ২০১৪ সালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে। আর এই দেয়াল নির্মাণের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন মহসিন মিয়ার পরিবার। পরে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলে পকেট গেট রাখেন যাতায়াতের জন্য। তবে মাদ্রাসার প্রধান ফটক বেশিরভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকায় আসা-যাওয়ায় সমস্যা হয়। এলাকার কৃষকদেরও মাদ্রাসার পশ্চিমদিকের জমির ফসল ঘরে তুলতে বহুপথ ঘুরতে হয়।
শিক্ষক মহসিন মিয়া বলেন, ‘মানবেতর জীবন যাপন করছি। একটা উন্মুক্ত রাস্তার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ১০ বছর দৌড়াদৌড়ি করেও পাচ্ছি না।’
মহসিন মিয়ার ছেলে আরিফ আহমেদ বলেন, ‘মাদ্রাসাটি ভোলাবো মৌজায়। আর আমাদের বাড়িটি মোচারতালুক মৌজায়। দুই মৌজার মাঝখানে ১০ ফিট জায়গা আছে। যেটা দখল করে মাদ্রাসার দেয়াল তোলা হয়েছে। এই ১০ ফিট জায়গা ছেড়ে দিলেই চলাচলের রাস্তা হয়ে যায়। গত ১০ বছর নিজেদের বাড়িতে থেকেও মনে হচ্ছে জেলখানায় বসবাস করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হাছান বলেন,‘নিরাপত্তার স্বার্থেই গেটে তালা দিয়ে রাখি। তবে মহসিন মিয়ার যাতায়তের জন্য অনুমতি দেওয়া আছে।’
পরিচালনা পরর্ষদের সভাপতি হাসান আশকারি বলেন, ‘এখানে মাদ্রাসার ছাড়া অন্যকোন জমি আমার জানামতে নেই। তারপরও আমরা মহসিন মিয়ার চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। তার চলাচলের জন্য পকেট গেট রেখেছি। এ ছাড়া উত্তর দিক দিয়ে কৃষকদের চলাচলের জন্য রাস্তা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিমন সরকার বলেন, ‘শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’