বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৫ এএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে সীমান্ত এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। প্রবা ফটো
মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) বনাম মিয়ানমার জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের এপারে স্থানীয় বাংলাদেশিদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার নিকটবর্তী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির রাইট অ্যান্ড লেফট ক্যাম্প নামে দুটি ক্যাম্প দখলে নিতে টানা চার দিন ধরে চলছে গোলাগুলি।
ওপারের যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলাবারুদ, বোমা, মর্টার শেল এপারে স্থানীয়দের বসতভিটা, বাড়ির আঙিনায় এসে আছড়ে পড়ে। মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে এরই মধ্যে দুজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ওপার থেকে ছুটে আসা বুলেটের আঘাতে একজন আহত হয়েছেন।
মিয়ানমারে দুই গ্রুপে ক্যাম্প দখল নিয়ে তুমুল লড়াইয়ে সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি ও স্থানীয়দের নিরাপত্তাহীনতার কথা মাথায় রেখে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জরুরি ভিত্তিতে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানকার কঠিন পরিস্থিতি ও ভয়াবহতা দেখে সীমান্তে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয়দের আসার জন্য কাজ করেন। সীমান্তবর্তী এলাকার ২৭টি পরিবারের ১২০ সদস্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফাতেমা বেগম। আশ্রয় নেওয়া ১২০ জনের জন্য রাতের খাবার ও কম্বল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আজ বুধবার সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে গোলার আওয়াজ শোনা যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।