কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৯ এএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৬ এএম
ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম ১০ মাস পর নিজ বাড়িতে ফেরার পর দেখে সাজানো সংসার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রবা ফটো
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আলোচিত ‘আব্বা বাহিনী’র হাতে দখল হওয়ার ১০ মাস পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরে পেলেন গৃহবধূ মরিয়ম বেগম।
গত সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সরজিৎ কুমারের নেতৃত্বে ইকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের একটি দল বাড়িটি দখলমুক্ত করে ভুক্তভোগী মরিয়মের কাছে বুঝিয়ে দেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর মিরেরবাগ এলাকায় গত ১১ এপ্রিল নিজের বাড়ির সামনে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় আব্বা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে শিশুসন্তানদের নিয়ে তিন দিন গৃহবন্দি থাকার পর ৯৯৯ ফোনের মাধ্যমে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন মরিয়ম বেগম। এরপর বাড়িটির দখল নেয় আব্বা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িটি দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী ব্যবসায়ী আবির হোসেন বাহাদুর।
গত ১৭ জানুয়ারি আলোচিত রাসেল হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আব্বা বাহিনীর প্রধান আফতাব উদ্দিন রাব্বিসহ বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মরিয়ম বেগমের বাড়ি দখলের ঘটনাটি সামনে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রায় ১০ মাস পরে বাড়িটি দখল মুক্ত করে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, ১০ মাস পরে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে আমার সাজানো সংসার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরের ভেতর সব জিনিসপত্র ভেঙে লন্ডভন্ড করেছে। আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার ও বাড়ির দলিল সব লুট করে নিয়ে গেছে।
মরিয়ম বেগমের স্বামী বাহাদুর বলেন, ঘটনার দিন ব্যবসায়িক কাজে ঢাকার বাইরে ছিলাম। পরে জানতে পারি আমার স্ত্রী সন্তান বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। আমি তখন বাসায় আসতে চাইলে স্ত্রী নিষেধ করে এবং পুলিশের সাহায্য নিতে বলে। ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করি। আজ দশ মাস পর বাসায় ফিরে দেখি সব লন্ডভন্ড, আমার মোটরসাইকেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, বাড়িটি দখলমুক্ত করে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘরের ভেতরের কোনো জিনিসপত্র খোয়া গেছে কিনা এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।