রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪২ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১১ পিএম
প্রতীকী ছবি।
এখনও এসএসসি পাস করেনি কিশোরী। তিন দিন আগে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল সে। পরিবারের অভিযোগে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বিপত্তি ঘটল– প্রেমিকের কাছ থেকে কেন তাকে ধরে আনা হলো, অভিমানে থানায় ঘটাল ভয়ানককাণ্ড। কৌশলে থানার শৌচাগারে গিয়ে সে রাসায়নিক (হারপিক বা বাথরুম ক্লিনার) খেয়ে ফেলল।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহীর তানোর থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, হারপিক খেয়ে ফেলার পর তৎক্ষণাৎ কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কিশোরীর সঙ্গে তানোর উপজেলার বনকেশর গ্রামের আল আমিন নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। যুবক বিবাহিত, তার একটি সন্তান আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে যুবকের পরিচয়। গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) কিশোরী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে যুবকের সঙ্গে। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে রবিবার ঢাকা থেকে তানোর থানা-পুলিশ কিশোরী ও যুবককে উদ্ধার করেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী বলেছে, ‘আমি আলামিনকে ভালোবাসি। তার সঙ্গেই থাকতে চাই। ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে চাই না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিশোরীকে থানায় আনার পর তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যার থানায় আসার পর কিশোরীকে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সে জরুরি শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে। তখন সে থানার শৌচারাগারে গিয়ে হারপিক খেয়ে ফেলে।
জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ঢাকা থেকে কিশোরী ও যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর এর মধ্যে থানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিশোরী আপাতত সুস্থ আছে এবং হাসপাতালে আছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন ঘটনায় বিব্রত বলে জানিয়েছেন কিশোরী ও যুবকের পরিবারের সদস্যরা। এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।
রামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মুকুল হোসেন বলেন, কিশোরী সুস্থ আছে। সে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।